পেমেন্ট বা টাকা পরিশোধের মাধ্যমঃ
ক্রেতাদের জন্য পণ্যের দাম পরিশোধের মাধ্যমটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটা উপায়ে পণ্যের দাম আপনি গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে পে অন ডেলিভারি/ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থাটা খুব জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যমেও টাকা গ্রহণ করতে পারেন। মোবাইল ব্যাংক বা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করেও পণ্য পাঠাতে পারেন।
ক্রেতার কাছে যে ভাবে পণ্য পৌছাবেনঃ
ক্রেতার কাছে নিরাপদে পণ্য পৌঁছানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ক্রেতা পণ্য অর্ডার করার পর, যত দ্রুত আপনি পণ্যটি তার কাছে পৌঁছাতে পারবেন আপনার ব্যবসার জন্য তত সুফল বয়ে আনবে। তাই পণ্য সরবরাহের বিষয়টি আপনাকে সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আপনি ক্রেতার কাছে কয়েকটি উপায়ে পণ্য পাঠাতে পারেন।
১) নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থার মাধ্যমে
২) থার্ড পার্টি কুরিয়ারের মাধ্যমে
৩) ই-কমার্স পণ্য সরবরাহকারীদের মাধ্যমে।
ই-কমার্স বিজনেসের শুরুতে থার্ড পার্টি কুরিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে কুরিয়ার কোম্পানিদের সাথে আগে থেকে চুক্তি করে নেয়া ভাল।
প্রচারই প্রসারঃ
প্রথম অবস্থায় যখন আপনি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করবেন তখন আপনার কোনো ক্রেতা থাকবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। অনলাইন, অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের জন্য আপনি ফেসবুক, গুগল এডওয়ার্ড, নিউজসাইট বা জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্লগে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এছাড়া অফলাইনেও প্রচার করতে হবে। যত বেশি গ্রাহকের কাছে আপনি পৌঁছাতে পারবেন আপনার পণ্যের বিক্রয় তত বেশি বেড়ে যাবে।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শঃ
ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে হলে মোটামুটি ভাল অংকের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তাই ই-কমার্স বিজনেস শুরু করা আগে বিষয়টা ভাল করে ভেবে নিবেন। মার্কেট রিসার্স করে গ্রাহকদের মতামত বিবেচনা করে পণ্য নির্বাচন করা যুক্তিযুক্ত হবে। আপনি চাইলে কম খরচেও ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। এজন্য আপনাকে অনেক পণ্য স্টক করে রাখার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু কুরিয়ার আছে যারা ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে ৫০,০০০/- টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই প্রথমে ফেসবুক এপসের মাধ্যমে অনলাইন শপ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ই-কমার্স বিজনেসে পণ্যের মান নিশ্চিত করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ভাল মানের পণ্য সরবরাহ করেন তাহলে আপনার ক্রেতাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এছাড়া পণ্যের দাম পরিশোধ ও সরবরাহের বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিনিয়ত প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে আপনার ই-কমার্স কোম্পানিটি জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
Search
Popular Posts
-
9 Things You Ought To Consider Regarding SEO Companies
By loz109 -
যে ভাবে শুরু করবেন ই-কমার্স বিজনেস
-
Generate BEP20 Token with Reflection, Rewards, Buyback, Anti-Whale, Liquidity Generation
-
Rar Gadget Wi Utorrent Free Key Keygen Windows !LINK!
By resipimoong -
2021 --- 2021 Dix ans de développement du téléphone intelligent